-
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮-র প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, খেজুরে আছে প্রচুর শক্তি, এমিনো এসিড, শর্করা ভিটামিন ও মিনারেল। এই ফলটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ ও বি, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, প্রোটিন, ফাইবার এবং আয়রন। এই খেজুর আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের ঘাটতি যোগান দিতে সাহায্য করে।
ইফতারে প্রায় সবারই প্রথম পছন্দ খেজুর। রোজায় দীর্ঘসময় খাবার বিরতি রাখতে হয়। এ সময় শরীর পুষ্টির অভাবে অনেকটাই ক্লান্ত থাকে। কাজের চাপে অফিসে কিংবা বাসায় ইফতার করেন অনেকেই। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই খেজুর খেয়ে ফেলে দেন এর বীজ। আপনিও কি তা করেন?
আপনি কি জানেন? খেজুরের মতো এর বীজেও লুকিয়ে রয়েছে জাদুকরী নানা গুণ! এখন জেনে নিই খেজুরের বীজের কিছু উপকারিতা-
১। খেজুরের বীজ ফেলে না দিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। এরপর তা হালকা বাদামি করে সরিষা তেলে ভেজে নিন। এখন ভাজা বীজগুলো গুড়া করুন। খেজুর বীজ থেকে তৈরি গুড়া মিষ্টি, স্মুদি, দইয়ে মিশিয়ে খেতে পারেন। বীজে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধানে দারুণ কাজ করে।
২। খেজুরের বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে পারে।
৩। খেজুরের বীজ থেকে তৈরি করা যায় তেলও। এ তেল ত্বক ও চুলের যত্নে ভালো কাজ করে।
৪। পাচনতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে চাইলে খেজুর বীজের গুড়া নিয়মিত খেতে পারেন।
৫। খেজুর বীজের গুড়া দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। তাই ওজন কমাতে চাইলে ভরসা রাখতে পারেন এতে।
৬। রক্তে শর্করার মাত্রায় ভারসাম্য রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও কাজ করতে পারে খেজুরের বীজ।
৭। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারে খেজুরের বীজ।
৮। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খেজুরের বীজ কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর সেবন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
৯। শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে দূষণমুক্ত করতে পারে খেজুর বীজের গুড়া। শুধু তাই নয়, পেটের অনেক রোগ নিরাময়ে উপকারী খেজুরের বীজ।
১০। খেজুর বীজের গুড়া কফি বা চায়ের মতো করে খাওয়া যেতে পারে। এটি ক্যাফেইন মুক্ত কফি হিসাবে কার্যকরী।